আজিজুর রহমান রাজু:

ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষেতের ফলন গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা—এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে রবিবার (২৬ অক্টোবর) কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া এলাকায় তরুণ উদ্যোক্তা জাফর আলমের বাড়িতে।

এ বছর চোখধাঁধানো ফলন হলেও বাজারে ন্যায্য মূল্য না থাকায় উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না কৃষকরা। সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক খরচের পাশাপাশি জমির খাজনাও বেড়ে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন শতাধিক চাষি।

মধ্যম গজালিয়া, পূর্ব গজালিয়া, ভোমরিয়াঘোনাসহ আশপাশের প্রায় ২০০ একর জমিতে শতাধিক কৃষক সবজি ও মৌসুমি ফসল চাষ করেছেন। মাঠজুড়ে ফলনের প্রাচুর্য থাকলেও পাইকারি বাজারে দরপতনের কারণে কৃষকের ঘরে আনন্দ নয়, নেমে এসেছে হতাশা।

ভুক্তভোগী কৃষক নুরুল ইসলাম, নুরুল আমিন ও পেঠান মিয়া বলেন, “জমির খাজনা দিয়ে চাষ করেছি, ধারদেনা করে সার ও কীটনাশক কিনেছি। এখন বাজারে দাম নেই। এভাবে চলতে থাকলে পথে বসতে হবে।”

কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, বাজারে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে উৎপাদকরা ফসলের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। এতে হতাশ হয়ে অনেকেই কৃষিকাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন।

তাদের দাবি, সরকার যেন কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়—বিনামূল্যে বা ভর্তুকিমূল্যে সার ও কীটনাশক সরবরাহ করে উৎপাদন খরচ কমায় এবং বাজার তদারকি জোরদার করে ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে।

ভুক্তভোগী কৃষকদের ভাষায়, “আমরা পরিশ্রম করে ফসল ফলাই, কিন্তু বাজারে ন্যায্য দাম না পেয়ে সব হারাচ্ছি। সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আগামীতে কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলব।”